লোকেরা আসন্ন ২০২০ সালের মাস্কটকে কী মর্যাদাবান বৈশিষ্ট্যযুক্ত। ইঁদুরের প্রকৃতি কী এবং কী দেবী ইঁদুরের ঝাঁকে পরিণত হয়েছিল।
চীনারা যে যুক্তি দ্বারা নিজের জাতক জাতিকার জন্য প্রাণীকে বেছে নিয়েছিল তা বেশিরভাগ ইউরোপীয়দের কাছে পরিষ্কার নয়। ধরা যাক আমরা কুকুর, বিড়াল এবং ঘোড়াগুলিকেও পছন্দ করি, তবে শূকর এবং ইঁদুরটি তাবিজের তালিকায় কোথা থেকে এসেছে? প্রথমটি যদি এখনও স্বাদযুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবারের উত্স হিসাবে শ্রদ্ধার দাবি রাখে, তবে দ্বিতীয়টি একটি কীটপতঙ্গ এবং সম্মানজনক সারিতে তার কোনও স্থান নেই। প্রাচ্যে ইঁদুরদের প্রতি মনোভাব সম্পূর্ণ আলাদা। ইতিহাস এবং পৌরাণিক কাহিনী আপনাকে সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানাবে।
কেন আমরা তাদের ভালোবাসি না
আসুন আমরা কোন মাউস, বা একটি ইঁদুর জুড়ে আসি তা স্মরণ করার চেষ্টা করি। প্রথম যে বিষয়টি মনে আসে তা হ'ল গোয়েটির কবিতা "ফাউস্ট"। সেখানে, মফিস্টোফিলস, cheকেমিস্টের বাড়ি ত্যাগ করার জন্য, তাঁর অভিজাতদের দাসদের সাহায্যের জন্য আহ্বান জানায় এবং তাদের চৌকাঠটি কুঁকতে বলে, যেখানে প্রতিরক্ষামূলক চিহ্নগুলি চিত্রিত করা হয়। আমাদের পূর্বপুরুষরা মধ্যযুগীয় মহামারী মহামারীর সময় এই জীবন্ত প্রাণীগুলিতে শয়তানের সাহায্যকারীদের দেখেছিলেন - সংক্রমণটি ইঁদুরের উপরে বসবাসকারী পরজীবী দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। এই মুহুর্ত পর্যন্ত লোকেরা আবারও সেই প্রাণীর কথা উল্লেখ না করে চেষ্টা করল যা শস্যাগারগুলিতে শস্যকে হুমকি দেয়, কারণ লোককাহিনীতে ভালুকের চেয়ে ইঁদুরের পরিমাণ কম থাকে।
প্রাচীনতাও ইঁদুর এবং ইঁদুরের প্রতি করুণার মধ্যে আলাদা ছিল না। তাদের প্রতি সবচেয়ে অনুগত ছিল প্রাচীন গ্রীকরা, যারা এই প্রাণীদের উর্বরতা উদযাপন করেছিল এবং তাদেরকে অভিলাষের প্রতীক হিসাবে তৈরি করেছিল। রোমানরা সাধারণত ইঁদুরগুলিকে এমন প্রাণী হিসাবে বিবেচনা করে নি যা আত্ম-প্রজননে সক্ষম। বেশ কয়েকটি প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সমস্যাগ্রস্থ বছরগুলিতে ইঁদুর এবং ইঁদুর পৃথিবী থেকে জন্মগ্রহণ করে, প্রায়শই এর কারণ স্বর্গীয় দ্বন্দ্বগুলি।
কেন আমরা তাদের ভালবাসি
মানবতা সর্বদা ইঁদুরদের ঘৃণা করে না। আদিম পরিবারগুলিতে বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলি প্রায়শই খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হন। খাবারের সন্ধানে, তারা ইঁদুরের বুড়োকে হোঁচট খাচ্ছিল, যেখানে শস্যের একটি স্টোর ছিল। পশু থেকে শিকার কেড়ে নিয়ে লোকটি তাকে ধন্যবাদ জানায়। কিছু রাশিয়ান লোককাহিনীতে, একটি হোস্টেস মাউস রয়েছে। সত্য, এই জাতীয় নায়িকা মানুষের বাসস্থান থেকে দূরে বনে বাস করে।
প্রাচ্যে, কীভাবে এই প্রাণী মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচিয়েছিল তার প্রত্নতাত্ত্বিক পুনর্বিবেচনাগুলি আরও ভালভাবে সংরক্ষণ করা যায়। চীনা জনশ্রুতি অনুসারে এটি ইঁদুর ছিল, যারা তাদের পূর্বপুরুষদের ধান বাড়ানো শিখিয়েছিল। স্বভাবতই, তারা এটি দেবতাদের ইচ্ছায় করেছিল। বাড়িতে এই কীটপতঙ্গগুলির অনুপস্থিতি একটি অশুভ শঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়। লাওসের বাসিন্দারা লক্ষ্য করেছেন যে ছোট প্রাণী বন্যার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। তাদের বিশ্বাস অনুসারে, ইঁদুররা মানুষকে একুম্যানিকাল বন্যার আগমনের বিষয়ে সতর্ক করেছিল, যা দুর্যোগের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া এবং এটি থেকে বাঁচা সম্ভব করেছিল।
প্রিয় ইঁদুররা
ইঁদুর এবং ইঁদুর প্রায়শই যাদুকর আচারে ব্যবহৃত হয়। ইউরোপ এবং আফ্রিকাতে কল্পিত যাদুকর এবং যাদুকররা এ অনুশীলন করে। পূর্বে, সরকারী সংস্কৃতির চাকররা ইঁদুরদের সাহায্য নিয়েছিল। আকাশ সাম্রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে যদি কোনও একটি সাদা প্রাণী জুড়ে আসে, তবে তিনি তা মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে একটি মাউস বা ইঁদুরকে দেখাশোনা ও লালন-পালন করা হত। পুরোহিতরা তার আচরণ দেখেছিলেন এবং এটি থেকে ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। জাপানে, ইঁদুরটি সমৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক সন্ত, দেবতা ডাইকোকু এর সঙ্গী। তিনি মানুষকে যাদু ভাতের দানা আনেন। ইঁদুরেরও কম আকর্ষণীয় চিত্র রয়েছে - এটি গুপ্তচর এবং ভাড়াটে খুনিদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিবেচিত হয়।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, জ্ঞানের দেবতা গণেশ একটি বিশাল ইঁদুরের চারপাশে চড়ে। এই হাতির মাথার এই মালিক একবার একবার অসুরের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু মাথা হারাননি, তার কুণ্ডলীটি ভেঙে ফেলেছিলেন এবং মন্দ আত্মাকে ফেলে দেন। এই ধরণের অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা, অশুচি একটি ইঁদুরে পরিণত হয়েছিল, যা বিশ্বাস এবং সত্যের সাথে দেবতার সেবা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। এই প্রাণীটি কেবল গণেশকে বহন করে না, তবে মহাবিশ্বের সবচেয়ে লুকানো কোণগুলিতে প্রবেশের তার ক্ষমতার প্রতীক।
ইঁদুরের মন্দির
ভারতে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে ইঁদুরদের পবিত্র প্রাণী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একটি অস্বাভাবিক অভয়ারণ্য দেশনোক শহরে অবস্থিত এবং করণী মাতার দেবীকে উত্সর্গীকৃত।তিনি মানুষের প্রতি তার সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। ক্রমাগত তার চার্জের কাছে উপস্থিত হতে এবং তাদের সহায়তা করার জন্য, তিনি একটি মন্দির তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে দেবী 20 হাজার ইঁদুরের উপর চূর্ণ হয়ে সেখানে স্থির হন। এই কিংবদন্তির আর একটি সংস্করণ রয়েছে। তার মতে, কর্ণি মাতা সদয় কর্ণা মাতা শিশুটিকে মৃত্যুর fromশ্বর থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। অশুভ আত্মা ইতিমধ্যে কাছাকাছি ছিল, তিনি শিশু একটি ইঁদুর পরিণত। মৃত্যু তার শিকারকে চিনতে পারেনি। এর পরে, স্মার্ট দেবী সমস্ত কিছু এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যাতে তার সন্তানেরা মারা না যায়, তবে ইঁদুরগুলিতে পরিণত হয়েছিল। মন্দিরে আজ এমন লোক আছেন যারা নিজেকে কর্নি মাতার বংশধর মনে করেন। তারা মৃত পূর্বপুরুষদের প্রাণীদের মধ্যে তাদের চারপাশে ঝাঁকুনি দেখছে এবং তারা তাদের সাথে আনন্দের সাথে খাবার ভাগ করে নিচ্ছে।
ইঁদুর / মাউসের প্রকৃতি কী - পরের বছরের মাস্কট
আসন্ন 2020 এর তাবিজ মূলত সমৃদ্ধির প্রতীক। পূর্বের বিশ্বাস অনুসারে রডেন্টগুলি আর্থিক বিষয়গুলি সমাধানে সহায়তা করে, বাড়ীতে বৈষয়িক সুবিধা নিয়ে আসে। ইঁদুর আকারে আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের মূর্তি দিতে নির্দ্বিধায় - তারা সম্পদ আকৃষ্ট করবে। পরের বছরের পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবসায় এবং অর্থনৈতিক মানুষের পক্ষে হবে। তার অনুগ্রহ অর্জন করতে, আপনাকে ছুটির আগে আপনার বাড়িটি পরিষ্কার করতে হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। ইঁদুরের পছন্দের খাবারটি ভাত।
২০২০ সালে আমরা যে ইঁদুরটির অপেক্ষায় রয়েছি, সেটি হল হোয়াইট মেটালিক। পশুর রঙ বিশ্বের সাথে যুক্ত - পশ্চিম। আপনি যদি ইঁদুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান, উদযাপনের জন্য প্রাঙ্গণটি সাজানোর সময়, আপনার পশ্চিমে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা স্থানটির দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। মাউস রিলিজ হঠকারীতা এবং সংকল্পের মতো গুণাবলীকে নির্দেশ করে। যারা ছুটির জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং "তাদের স্বপ্নের নতুন বছর" পরিচালনা করতে পেরেছেন তারা ধাতব র্যাটকে খুশি করতে সক্ষম হবেন।
